• মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ হিসাব জমা দিতে হবে, মন্ত্রিপরিষদের নীতিমালা জারি পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু শিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বুধবার নাটোরে পাওনা ২০০ টাকা চাওয়ায় দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ রাজশাহীতে এক দফা দাবিতে নার্সদের কর্মবিরতি দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনারা সুর পাল্টে কথা বলছেন: অন্তর্বর্তী সরকারকে ডা. জাহিদ রডে ঝুলছিল আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ, স্ত্রীর দাবি ‘হত্যা’ জানাজা থেকে ফেরার পথে যুবককে গলা কেটে হত্যা মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ-কুমির-বানরের সংখ্যা জানালেন মন্ত্রী

Reporter Name / ৭৩ Time View
Update : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম বাঘ গণনা করা হয় জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০১৫ সালে সুন্দরবনের বাঘ গণনা করে ১০৬টি বাঘ পাওয়া যায় এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। এছাড়া সমগ্র সুন্দরবনে এক লাখ থেকে দেড় লাখ হরিণ, ১৬৫ থেকে ২০০টি কুমির এবং ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বানর রয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ ও কুমির নিধন বন্ধে সরকার ২০১২ সালে বন অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও র্যাবের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে সুন্দরবন থেকে দুষ্কৃতকারী, জলদস্যু বিতাড়িত করা হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পশু বাঘ রক্ষায় `Bangladesh Tiger Action Plan’ (২০১৯-২০২৭) প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী অপরাধ বন্ধে বনকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্মার্ট (SMART-Spatial Monitoring And Reporting Tool) টহল ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। উক্ত বিশেষ টহল ব্যবস্থায় দ্রুতগামী জলযান ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়।

সুন্দবনের চারটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পরিমাণ পূর্বের ২৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫২ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী প্রজনন মৌসুম জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে সুন্দরবনে সব ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালীদের বাঘ, হরিণ ও কুমির নিধন বন্ধে নিয়মিত সচেতনতামূলক সভা ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী পাচাররোধে দুবলার চরে রাসমেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের রক্ষিত বন-ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত চারটি রেঞ্জে চারটিসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি, প্রতিটি গ্রামে পিপলস ফোরাম, ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম, কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ কার্যকর রয়েছে।

এছাড়াও সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করাসহ সুন্দরবনে বাঘ ও কুমিরের আক্রমণে নিহত বা আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

আরবিসি/০৪ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category