আরবিসি ডেস্ক : আশুলিয়ায় আঁখি আক্তার নামে দেড় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার চার দিনেও শিশুটির কোনো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার টেঙ্গুরী এলাকায় সকাল পৌনে ১১টার দিকে একটি দোকানের সামনে থেকে শিশুটিকে কোলে তুলে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক যুবক।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শিশুটি বাড়ির পাশে দোকানের সামনে তার পাঁচ বছর বয়সী ভাইয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ওই যুবক কন্যাশিশুটিকে কোলে নিয়ে দ্রুত চলে যায়। শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী শিশুটির দাদা আবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত যুবককে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
শিশুটি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার পাইক্কা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে। সাদ্দাম হোসেন রাজমিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী মিরা আক্তার পোশাক শ্রমিক। তাঁরা বর্তমানে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় আলী হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত এই যুবক ঘটনার দু-তিন দিন আগে আলী হোসেনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিতে আসে। তখন বাড়ির ম্যানেজার নেই বলে সে কথাবার্তা বলে চলে যায়। আবার গত বৃহস্পতিবার সে আসে। তখন কথাবার্তার একপর্যায়ে শিশু মিরাজ ও আঁখিকে ১০ টাকা দিয়ে দোকানে চকোলেট কেনার জন্য পাঠায়। পরে ওই যুবক শিশুদের পেছনে পেছনে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দোকানের কাছে গিয়ে আঁখিকে কোলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
চুরি হওয়া শিশু আঁখির মা মিরা আক্তার বলেন, আমি অফিসে ছিলাম। খবর পেয়ে বাসায় এসে জানতে পারি, আমার মেয়েকে চুরি করে নিয়ে গেছে। অনেকেই দেখেছে। আশপাশের মানুষ ভেবেছে সে হয়তো আমাদের আত্মীয়। আঁখির বাবা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি কাজে ছিলাম। আমার মা আমাকে জানান, আমার আঁখিকে নিয়ে গেছে। আমরা অনেক খুঁজছি।
শিশুটির নানি বকুল খাতুন বলেন, ওই ব্যক্তি বাসা ভাড়া খোঁজার অজুহাতে তাদের ভাড়া বাসাতে বেশ কদিন এসেছিল। পরে বৃহস্পতিবার সকালে নাতি মিরাজকে চকোলেট কিনে খাওয়ার জন্য ১০ টাকা দেয়। মিরাজ তখন তার বোন আঁখিকে নিয়ে দোকানে যায়। দোকানের পাশ থেকে আঁখিকে ওই ব্যক্তি চুরি করে নিয়ে যায়। মিরাজও ছোট, সে কিছু বুঝতে পারেনি।
আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলের পাশে একটি মাদরাসা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে তার চেহারা ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ বা টাকাও চায়নি কেউ। ভুক্তভোগী পরিবারকে বলেছি, কোনো ফোন এলে যাতে পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করেন। আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
আরবিসি/০৩ এপ্রিল/ রোজি