আরবিসি ডেস্ক : স্বাভাবিকভাবেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম চড়া। তার ওপর রমজানে আরও বেড়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম একজন। তিনি হলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের এরশাদ উদ্দিন। রমজান উপলক্ষে তিনি তার খামারের দুধ ১০ টাকা লিটারে বিক্রি করছেন।
বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এরশাদ উদ্দিনের নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ফার্মে দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণের গরু রয়েছে ৩০০টি। এরমধ্যে বর্তমানে ১৫টি গাভি দুধ দিচ্ছে। এ থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ লিটার দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। সেটার বড় একটি অংশ ১০টাকা লিটারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে এরশাদ উদ্দিন বলেন, রমজান ছাড়া তিনি বিভিন্ন হোটেলে ৫০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করে থাকেন। রমজানে দুধের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সেটা দরিদ্র নিম্নবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকে। এ বিষয়টা চিন্তা করে তিনি তাদের জন্য নামমাত্র মূল্যে অর্থাৎ ১০টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটা প্রথম রমজান থেকে শুরু করে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে। তিনি আরও জানান, পুরো রমজানে এক মেট্রিক টন দুধ ১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হবে। সে হিসেবে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন ১০ টাকা দরে দুধ কিনতে পারবেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে তার খামারে ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি শুরু করা হয়েছে। প্রতিজন দৈনিক সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ কিনতে পারবেন।
এমন মহতি উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছেন এরশাদ উদ্দিন।
আরবিসি/০৩ এপ্রিল/ রোজি