আরবিসি ডেস্ক : রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহতের ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক ও তার সহকারীকে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয় ঘাতক গাড়িটি শুক্রবার রাতে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহমেদ এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে ট্রিপল নাইনে কল পেয়ে মাইশা মমতাজ মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর খবর পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় তার বাবাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, অন্যদিনের মতো শুক্রবার সকালে উত্তরার ৬ নাম্বার সেক্টরের বাসা থেকে নিজের স্কুটিতে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন মাইশা মমতাজ মিম।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারে উঠলে পেছনে একটি কাভার্ডভ্যান ছিল। সেটি ওভারটেক করে যাওয়ার সময় চাপা দেয় মিমকে। তাকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ট্রিপল নাইনে কল দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে খিলক্ষেত থানার পুলিশ মীমকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে ছুটে যান স্বজনরা। তারা জানান, মীমের ছোট বোনকে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের বাবা। মীমের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে জ্ঞান হারান শিক্ষক বাবা।
ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে কাভার্ডভ্যান চালক ও তার সহকারীকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে গাড়িটিও।
নিহত মিম নর্থ-সাউথ ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরবসি/২ এপ্রিল/মানিক