স্টাফ রিপোর্টার : উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এর অসাবধানতায় অল্পের জন্য এবার প্রাণে বাঁচলেন দুই শ্রমিক। রাজশাহী নগরীতে বৈদ্যুতিক কাজের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেয়ায় পোলেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঝুলে যান দুই শ্রমিক।
পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে দুই শ্রমিককে গুরুতর আহত অবস্থায় বিদ্যুতের পোল থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন জেলার কাটাখালি এলাকার ইসলামপুর গ্রামের আকবর আলী ও শমিম হোসেন। কয়েকমাস আগেও বিদ্যুৎ বিভাগের অসচেতনায় নগরীতে এক কর্মীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানারধীন সির্ভিল সার্জনের বাংলোর সামনে সার্কিজ হাউজ ফিডারের অধীনে বিদ্যুৎ উন্নয়নের কাজ চলছিলো। দুই শ্রমিক বৈদ্যুতিক পোলে উঠার আগে অফিস থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাজ করতে উঠেন তারা। তবে কাজ করা অবস্থায় পুনরায় রাজশাহী নগরীর নেসকো ডিভিশন-২ বিদ্যুৎ অফিস হতে কেউ বৈদ্যুতিক লাইনটি চালু করে দিলে তারা দুজনই বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে প্রায় আধাঘন্টা মত ঝুলতে থাকে।
এই সময় স্থানীয়রা দেখে নেসকো অফিসে ফোন দিয়েও কোন সাড়া পায়নি। দীর্ঘ সময় পর নেসকো অফিসে স্থানীয়রা যোগাযোগ করতে পারলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এছাড়াও স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অফিসে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত দুই বিদ্যুৎ শ্রমিক রামেক হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন। বিদ্যুৎ অফিসের এমন কাজে দায়িত্ব অবহেলা ও কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে রাজশাহী নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিঃ (নেসকো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, একটি ঠিকাদারের অধীনে ১১ হাজার কেভির বিদ্যুৎ উন্নয়নের কাজ করছিলো। আমি শুনেছি তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মৃত্যু বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর রাজশাহীতে নেসকোর অসাবধানতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেজাউল ইসলাম রেজা নামের ওই কর্মী কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
আরবিসি/৩১ মার্চ/ রোজি