আরবিসি ডেস্ক : অকারণে এক ব্যবসায়ীকে আটকের পর ২০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক ওসির বিরুদ্ধে। বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম ঘুষের সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন বলেও ৯৯৯-এ কল করে জানান ভুক্তভোগী।
ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিক বামনা উপজেলার খোলপটুয়া বাজারের ব্যবসায়ী। অহেতুক হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ এবং পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দেন রাসেলের বোন শাহানা বেগম। যদিও বশিরুল আলম এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খোলপটুয়া বাজারের রাসেলের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয় করতেন বশিরুল আলম। নকল বৈদ্যুতিক মালামাল বিক্রির অভিযোগে রাসেলকে থানায় ধরে নিয়ে যান তিনি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাসেলকে ছাড়িয়ে নিতে ওসির বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। পরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাসেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর ৯৯৯-এ কল করা হলে বশিরুল আলম সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী শাহানা বেগম বলেন, নকল তার বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ওসি বশিরুল আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যান। এরপর তিনি আমাদের কাছে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করলে আমরা ২০ হাজার টাকা দিয়ে রাসেলকে ছাড়িয়ে আনি।
তিনি আরও বলেন, ছাড়া পেয়ে আমার ভাই রাসেল ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানালে ওসি আমাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেন। এরপর থেকেই আমরা ওসির মাধ্যমে নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এমনকি তিনি আবারো আমাদের কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। তাই আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিক বলেন, আমার দোকানে কোনো দুই নম্বর মাল রাখি না। ওসি সাহেব শুধু শুধু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। পরে আমার বোন ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
ওইদিনই আমি ৯৯৯-এ কল করে পুরো ঘটনা বলি। পরদিন ওসি আমার দুলাভাইয়ের কাছে ২০ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বশিরুল আলম বলেন, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এ রকম কিছুই হয়নি। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি।
এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
আরবিসি/৩০ মার্চ/ রোজি