আরবিসি ডেস্ক : তুরস্কে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় ইতিবাচক সাড়ে মিলেছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। আলোচনায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভে সামরিক অভিযান বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
তবে চেরনিহিভের মেয়র ভ্লাদিস্লাভ অ্যাট্রোশেঙ্কো বলেছেন, সময়ই বলে দেবে রাশিয়ার প্রতিশ্রুতির সত্যতা।
তিনি আরও বলেন, কিয়েভ এবং চেরনিহিভের উপর রাশিয়ার হামলা কমানোর জন্য রাশিয়ার প্রতিশ্রুতি যদি বিশ্বাস করা হয়, তবে তা সুসংবাদই হবে।
তবে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, “গতকালও (মার্চ ২৯) শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় ‘অমানবিক’ কামানের গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এতে প্রায় ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব হামলায় মানুষ তাদের পা হারিয়েছে। কিছু মানুষ মারাও গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “কখনওই ভাবিনি যে মরদেহ রাখার জন্য রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) খুঁজতে হবে। কারণ মর্গগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। আরও কফিন তৈরির জন্য মিস্ত্রিও খুঁজতে হচ্ছে।”
চেরনিহিভের মেয়র বলেন, “রাশিয়ানরা সাধারণত বলে একটা। কিন্তু বাস্তবে ঘটে ভিন্ন কিছু। কেবল সময়ই দেবে তাদের এই কথায় বা প্রতিশ্রুতিতে কতটা সত্যতা রয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে খুব সতর্কতার সাথে এই শব্দগুলো ব্যবহার করছি।”
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনের লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক অঞ্চলকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরপর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে বুধবার ৩৫তম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়ার অভিযান। বিগত ৩৪ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করে যাচ্ছে ইউক্রেন। সূত্র: বিবিসি
আরবিসি/৩০ মার্চ/ রোজি