হয়তো অভিশপ্ত ছবির কথা শুনেছেন। যেমন- ক্রাই বেবি, এই ছবিটির কথা নিশ্চয়ই জানেন? ছোট্ট একটি বাচ্চার আঁকা ছবি। যে ঘরের দেয়ালে টাঙানো হয়েছে সেটিই আগুনে পুড়েছে। তবে মোবাইল নম্বরের কথা জানেন খুব কম মানুষই। বিশ্বের সবচেয়ে অভিশপ্ত মোবাইল নম্বর মনে করা হয় যে নম্বরটিকে সেটি ২০ বছর ধরে অচল।
২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে ৩ জন ব্যক্তি এই ফোন নম্বর ব্যবহার করার পরই তা স্থগিত করা হয়। আর ৩ জনই খুব কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছেন। এমনই কাণ্ড তাদের সঙ্গে ঘটেছে যে, তা শোনার পর থেকে আর কেউই অভিশপ্ত সেই মোবাইল নম্বর ব্যবহারের সাহস দেখাননি। তবে অনেকে আবার কুসংস্কার ভেবে উড়িয়ে দিয়েছেন সব যুক্তি তর্ক।
এই ফোন নম্বরটি বুলগেরিয়ার। সর্বপ্রথম সেই নম্বর নিয়েছিলেন মোবিটেল কোম্পানির সিইও, ভ্লাদিমির গেসনভ। সেই নম্বরটি হলো ০৮৮-৮৮৮৮-৮৮৮। তিনি এই নম্বরটি ইস্যু করেছিলেন ২০০০ সালে। তার ঠিক পরের বছর ক্যানসারে মারা যান ভ্লাদিমির।
তবে ভ্লাদিমির মৃত্যু ক্যানসারে হয়েছে এটি মেনে নিতে পারেননি অনেকে। অনেকেই দাবি করেছিলেন যে, ভ্লাদিমিরের ক্যান্সারের মৃত্যুর কারণটি আসলে গুজব। এই ফোন নম্বর ব্যবহার করার জন্যই তার মৃত্যু হয়েছিল।
বুলগেরিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এই ফোন নম্বরই তার জীবনের শত্রু হয়ে উঠেছিল। এরপর ডিমেট্রোভ নামের এক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এই নম্বর ব্যবহার শুরু করেন। আর এই নম্বর নেওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ডিমেট্রোভকে খুন করা হয়।
দিমেট্রোভকে একজন রাশিয়ান মাফিয়া হত্যা করেছিল। অভিশপ্ত সেই নম্বরটি এরপরে চলে যায় বুলগেরিয়ার এক ব্যবসায়ীর কাছে। ২০০৫ সালে তাকেও খুন করা হয়। কোকেন পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কারণেই তাকে খুন করা হয়েছিল। সেই শেষ। ২০০৫ সালের পর চিরতরে ওই অভিশপ্ত নম্বরটি স্থগিত করা হয়।
তবে বুলগেরিয়ার এই নম্বরটিই নয় এমন আরও অনেক অভিশপ্ত নম্বর রয়েছে সারাবিশ্বে। যে নম্বরগুলো যখনই যার হাতে গিয়েছে তারই ক্ষতি করেছে। কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এমনই এক নম্বর ছিল ০০০ ০০০০ ০০০০। এই নম্বর যে ১৫ জন ব্যবহার করেছেন তারা সবাই মারা ফিয়েছেন কোনো না কোনো আততায়ীর হাতে।
জাপানীজ নম্বরটি ছিল ০৯০-৪৪৪৪-৪৪৪৪। থাইল্যান্ডের ভুতুড়ে নম্বর ছিল ৯৯৯ ৯৯৯৯। এই নম্বরের অভিশপ্তের কথা এখনো সেখানকার মানুষ বিশ্বাস করে। এই ভুতুড়ে নম্বরটি নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তান এবং আমেরিকাতেও ঘটেছিল ভুতুড়ে নম্বরের তাণ্ডব।
আরবিসি/২৯ মার্চ/মানিক