আরবিসি ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ হওয়া খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগ করেন।
প্রাধ্যক্ষ বলেন, খাবার পরিবেশনের সময় ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা টোকেন ছাড়াই আমাদের কাছে একজনের জন্য পাঁচটা করে খাবারের প্যাকেট দাবি করে। আমরা তাদের জনপ্রতি এক প্যাকেট করে খাবার দিতে রাজি হই। কিন্তু তারা জোর করে প্রায় ১২০ প্যাকেট খাবার নিয়ে যায়।
এতে অনেক শিক্ষার্থীকে টোকেন থাকার পরও সময়মত খাবার দেওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পরে তারা পাশের হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে তাদের দেন।
তিনি বলেন, তারা প্রায় পৌনে পাঁচশ শিক্ষার্থীর জন্য খাবারের আয়োজন করেন। কিন্তু টোকেন নেন আমাদের থেকে ৩৯০ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে হলের স্টাফদের খাওয়ানোর পরেও আমাদের আরও অতিরিক্ত খাবার থেকে যাওয়ার কথা। তারা টোকেন ছাড়াই ১২০ প্যাকেট খাবার নিয়ে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিনি জানিয়েছেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হলের প্রাধ্যক্ষ প্রতিবেদন দিলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম।
তিন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সব কর্মীর জন্য একসঙ্গে খাবারের প্যাকেটগুলো নিয়েছিলাম। আর ১২০ প্যাকেট খাবার নেওয়ার অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আমরা ৭০ প্যাকেটের মতো খাবার নিয়েছি। খাবার সংকটের এই বিষয়টি হল প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার জন্যই হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বিষয়টির পরে সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা হয়েছে। তারা এটি সমাধান করে নিয়েছেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য একবেলা বিশেষ খাবার বরাদ্দ করে প্রশাসন। এজন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৩০ টাকার বিনিময়ে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। অন্য হলের মত শামসুজ্জোহা হলেও বেলা ১২টা থেকে খাবার পরিবেশন শুরু হয়।
আরবিসি/২৭ মার্চ/ রোজি