স্টাফ রিপোর্টার : করোনাকালে সম্মুখযোদ্ধা ও গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মাননা দিয়েছে রাজশাহীর স্বেচ্চাসেবী সংগঠন জামিল বিগ্রেড। রবিবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এক অনুষ্ঠানে শহিদ জামিল ব্রিগেড স্মারক তুলে দেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এর আগে ব্রিগেডের সেবা নিয়ে তৈরী করা একটি ডকুমেন্টারি প্রজেক্টরের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, করোনার সময়ে মানুষের জন্য জামিল ব্রিগেডের সাহসী যোদ্ধারা যা করেছে; তাতে শুধু দেশবাসী নয়, আমি নিজেও অভিভুত। আমি সরাসরি হয়তো তাদের সঙ্গে থাকতে পারিনি, কিন্তু আমার অন্তর ছিল ব্রিগেডের মধ্যেই।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, করোনাকালে অনেক রাত পর্যন্ত আমি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতাম। কি হচ্ছে এসব নিয়ে খোঁজ-খবর রাখতাম। তাদের উৎসাহ বাড়াতে অনেক সময় ফেসবুকে তাদের ছবিও পোস্ট করতাম। তাদের কাজের কোন মূল্য নেই। জামিল ব্রিগেডের সেবামূলক কার্যক্রমকে সমর্থন করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।
রাকসুর সাবেক ভিপি বাদশা বলেন, করোনার সেই সময়টি ছিল সবার জন্য অনেক কঠিন সময়। মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে কিন্তু তাদের সহযোগিতা করার কেউ নেই। এমনকি অনেক আপনজনেরাও করোনা রোগীর পাশে এসে দাঁড়াননি। কিন্তু অক্সিজেন-অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে জামিল ব্রিগেড তাদের পাশে গিয়ে হাজির হয়েছে।
অনেকের ওষধ কেনার টাকা না থাকলেও ব্রিগেডের সদস্যরা সংগঠনের অর্থে তাদের বাড়িয়ে ঔষধ পোঁছে দিয়েছে। অনেক সময় তারা নিজেদের বাড়িতে যায়নি। তাদের আন্তরিকতা দেখে অনেকেই তাদের টাকা দিতে চাইলেও তারা সেটি নেয়নি। আমি মনে করি, জামিল ব্রিগেডের সম্মুখযোদ্ধারা এ সময়ের মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই তাদের সাহস।
জামিল ব্রিগেডের উপদেষ্টা সিরাজুর রহমান খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন, ব্রিগেডের উপদেষ্টা ও কুবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, বারিন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সুজিত কুমার ভদ্র, ব্রিগেডের উপদেষ্টা গোলাম মোর্শেদ চুন্না, আলমগীর মালেক প্রমুখ।
আরবিসি/২৭ মার্চ/ রোজি