আরবিসি ডেস্ক : আজ ভয়াল ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে বাঙালি জাতির জীবনে নেমে এসেছিল এক কালরাত। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অপারেশন সার্চলাইট নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। হানাদার এই বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
২৫শে মার্চ ইতিহাসের এক বর্বরোচিত গণহত্যার ক্ষণ। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে এই দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৯৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানের সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২ মার্চ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশের সর্বস্তরের জনগণ কার্যত পাকিস্তানি শাসন অকার্যকর করে ফেলে। এ পর্যায়ে বাঙালিদের নিধনে বর্বর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ নেয় পাকিস্তানি জান্তা।
কর্মসূচি
সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, গণহত্যা দিবসে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে।
আরবিসি/২৫ মার্চ/ রোজি