স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেক মানুষের আয় বেড়েছে। দেশের কোনো মানুষ এখন দুঃখে নেই, সব মানুষ আজ সুখে আছে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এখন শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। দেশের কোথাও পাঁচশত টাকার কমে এখন দিন মজুর পাওয়া যায় না। চট্টগ্রামে আটশত টাকার কমে দিন মজুর পাওয়া যায় না। শেখ হাসিনা আজকে দেশকে সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন। সমগ্র পৃথিবী আজ বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সবাই শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে।
তিনি বলেন, এখন গ্রামের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, দেখে চেনার উপায় নেই। গ্রাম শহরে পরিণত হচ্ছে। গ্রামেও কাঁচা রাস্তা নেই। কুঁড়ে ঘর আর দেখা যায় না। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এখন রাজশাহী আর ঢাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এত সব উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষ খুব সুখে আছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র নেতারা বলেন, দেশের মানুষ সুখে নেই আর জাতিসংঘ বলে সুখের সূচকে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়েছে। আসলে বিএনপি’র কাজ মিথ্যাচার করা, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। তাদের কথায় কেউ সাড়া দেয় না। কারণ দেশটা বদলে গেছে। তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ পদ্মাসেতু করতে পারবে না। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি আর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রও হয়েছে, সুন্দরবনেরও কোনো ক্ষতি হয় নাই।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, অনেক সূচকে আমরা আজকে ভারতকে পিছনে ফেলেছি। এখন পাকিস্তানের মিডিয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়। সব সূচকে আজকে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গেছি। আর এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের করণেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার কথা ভাবেন। তিনি বয়স্কভাতা, বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের জন্য ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু করেছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইদানীং কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, এটি সারা পৃথিবীতেই বেড়েছে। আমাদের দেশেও কিছুটা বেড়েছে কিন্তু তুলনামূলক কম। তবুও আমাদের প্রধানমন্ত্রী ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন, এটি অব্যাহত থাকবে যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়।
এসময় তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষ ঔদ্ধত্য পছন্দ করে না। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে ঔদ্ধত্য আচরণ করছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি তাদের বিনয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমান, আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লেিগর সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাবলুসহ রাজশাহী মহানগর, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দূর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি/২৪ মার্চ/ রোজি