মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের নামেই লিচুর গ্রাম। গ্রামের রাস্তার দুই পাশ, বাড়ির আঙ্গিনা সবখানেই চোখে পড়বে সারি সারি লিচু গাছ। গাছে গাছে ফুল আর মুকুলের সমারোহ। ফুলের পরাগ থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি।
গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের জীবনযাপন লিচু ঘিরে। এ আয় থেকেই চলে পরিবারের ভরণ-পোষণ আর সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ। মৌসুমের শুরুতে মুকুল আসার পরই বাগানমালিকদের কাছ থেকে গাছ কিনে নেন স্থানীয় ব্যাপারীরা। এরপর পরিচর্যা করে গাছের পরিপক্ব লিচু বিক্রি করেন তারা।
এবার গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। তাই পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। লিচুর বাম্পার ফলন আশা করছেন তারা।
এদিকে বাগানের পাশে বাক্স বসিয়ে মৌমাছি চাষ করে মধু সংগ্রহ করছেন, মৌখামারিরা। বাগানে মৌমাছি চাষ করায় লিচুর ফলনও হয় অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মৌখামারি ছফির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বাগান থেকেই খুচরা মধু বিক্রি করে থাকি। আলাদাভাবে বাজারে মধু নিয়ে যেতে হয় না। আর লিচুর মধুও খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।’
এখানকার মধু সম্পর্কে ক্রেতারা বলেন, এ বাগানের মধু স্বচ্ছ ও সুস্বাদু। প্রতি কেজি মধু ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবাড়িয়ায় বেশির ভাগ গাছে লিচুর গুটি এসেছে। দুই মাস পরই লিচু পাকা শুরু হবে। মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে ছোট-বড় প্রায় ১৫ হাজার লিচুগাছ আছে। চলতি মৌসুমে এখান থেকে ১০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা করছেন ব্যাপারীরা।