কমিটির প্রস্তাবিত ভাড়া অনুসারে দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে সর্বোচ্চ ভাড়া দিতে হবে ৪৮ টাকা। দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ ভাড়া ২৮ টাকা। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজারের ভাড়া সর্বোচ্চ ৮ টাকা। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া ১২ টাকা। তবে এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় কমবেশি যে কোনোটাই হতে পারে।
ভাড়ার হার প্রস্তাবনার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল নির্মাণে সরকারি খাত ও বৈদেশিক ঋণের মাসিক ও দৈনিক খরচ, মেট্রোরেল পরিচালন ব্যয়, কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন খাত পর্যালোচনা করেছে কমিটি। সঙ্গে যাত্রী পরিবহনের হিসাবও নিরীক্ষা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মেট্রোরেলে স্টেশন আছে ১৬টি। কোথাও কোথাও এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনের দূরত্ব ১ কিলোমিটারেরও কম। ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার স্টেশনের দূরত্ব পৌনে ১ কিলোমিটারের মতো। এত স্বল্প দূরত্বে কিলোমিটার হিসাবে নয়, বরং পৃথক সর্বনিম্ন ভাড়া থাকা উচিত বলেও মনে করে এ সংক্রান্ত কমিটি। সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকাও নির্ধারণ হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে এই কমিটিতে আরও অভিজ্ঞদের স্থান দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই কমিটির অনেকেই। এর আগে এই কমিটি মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণের যে সুপারিশ করেছিল তা এখনো আমলে নেয়নি সরকার। এ জন্য পুনর্গঠিত কমিটি আরও বৈঠক করে পুনরায় ভাড়া সুপারিশ করবে। তারপর যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে মেট্রোরেলের ভাড়া।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের জুনে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের একাংশ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ২০৩০ সালের মাধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে অসহনীয় যানজট থেকেও মুক্ত হবে নগরবাসী। তাই মেট্রোরেলের প্রতি রয়েছে ঢাকাবাসীর আলাদা এক আকর্ষণ।
আরবিসি/২৩ মার্চ/মানিক