আরবিসি ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানোর সহিংসতা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল বলে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
তবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের বক্তব্যের প্রতিবাদ
জানিয়েছে মিয়ানমার। বিবৃতিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকে আবারও ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করেছে মিয়ানমার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুকে গণহত্যার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে লিখেছে, গণহত্যাবিষয়ক সনদের অন্যতম পক্ষ হিসেবে জাতিসংঘের সনদসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের বাধ্যবাধকতা পূরণে মিয়ানমার বদ্ধপরিকর। মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের গণহত্যার কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়নি। তা ছাড়া জাতি, ধর্ম কিংবা অন্য কোনো গোষ্ঠীকে পুরোপুরি কিংবা আংশিকভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কোনো কর্মকাণ্ডে মিয়ানমার যুক্ত হয়নি।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বিবৃতিতে যা তুলে ধরেছেন, তা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তার বর্ণনায় যা উঠে এসেছে, তা অবিশ্বস্ত সূত্র এবং যাচাই না করেই প্রচারিত ঢালাও মন্তব্য। তাই মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোরভাবে তার ওই বিবৃতি প্রত্যাখ্যানের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলার মাধ্যমে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার স্পষ্ট অভিপ্রায় ছিল।
আরবিসি/২৩ মার্চ/ রোজি