আরবিসি ডেস্ক : ডেস্ক : রোববার দিবাগত গভীর রাত। বাড়ির সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী রহিমাকে কোপাতে থাকেন মফিজ। চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় বড় ছেলে রোকনের। মাকে কোপানোর দৃশ্য দেখে ফেলায় তার দিকেও বটি হাতে তেড়ে যান মফিজ। উপর্যুপরি ছেলেকেও কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে মা-সন্তানকে হত্যার পর রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।
রোববার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার পূর্ব কলম্বেশর এলাকার একটি বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
অভিযুক্ত মফিজ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ইদুলপুর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে। ঢাকার মহাখালী এলাকায় রিকশা চালাতেন তিনি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই মফিজ-রহিমার মধ্যে তর্কাতর্কি হতো। মাঝেমধ্যে রহিমাকে মারধর করতো মফিজ।
বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গতরাত একটার দিকে মফিজ তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বড় ছেলে রোকন ঘুম থেকে জেগে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আসার আগেই পালিয়ে যায় মফিজ।
গাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরবিসি/২১ মার্চ/ রোজি