স্টাফ রিপোর্টার : বিশৃঙ্খলাকারীদের আওয়ামী লীগে কোনো জায়গা নেই- উল্লেখ করে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো চোরাপথ বা অন্ধকার পথ দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তৃণমূলে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে জেলা-উপজেলায় সম্মেলন করা হচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগে বিশৃঙ্খলাকারীদের কোন জায়গা নেই।
সোমবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৩ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, যমুনা সেতুর রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ দেশে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশের দুই ধারার রাজনীতি বিদ্যমান। এক ধারা আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন যখন সামনে আসছে, তখন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত নানাভাবে নানা কথা বলছে। নানা ষড়যন্ত্র করছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিএমডিএ চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উন্মোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথিসহ নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সম্মেলন মঞ্চেই দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আশরাফুল ইসলাম বাবুল বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
আরবিসি/২১ মার্চ/ রোজি