আরবিসি ডেস্ক : নির্ধারিত সময় ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল। খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে । পেনাল্টি শুট আউটে বাংলাদেশ পাঁচটির মধ্যে পাঁচটিতেই গোল করেছে। ওমান গোল করেছে তিনটি। বাংলাদেশ ৬-৪ গোলে ওমানকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এএইচএফ কাপের ট্রফি জিতল।
হকির পেনাল্টি শুট আউট এখন হয় একটু ভিন্ন নিয়মে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে অ্যাটাকারকে আট সেকেন্ডের মধ্যে গোল করতে হয়। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শট নেন ফরহাদ হোসেন শিতুল। তিনি বাংলাদেশকে লিড এনে দেন। ওমানও পরের শটে ম্যাচে সমতা আনে। সোহানুর রহমান সবুজ দ্বিতীয় শটে গোল করেন। ওমানের দ্বিতীয় শটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর অ্যাটাকারকে বাধা দিলে আম্পায়ার পেনাল্টি স্ট্রোকের বাশি বাজান। পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ওমান আবার সমতা আনে।
তৃতীয় শটে দুই দলই গোল করে। চতুর্থ শটে বাংলাদেশের নাইম গোল করলেও ওমানের অ্যাটাকার গোল করতে পারেননি। বাংলাদেশের গোলরক্ষক কুজুর তাকে বাধা দিচ্ছিলেন ঘুরে গিয়ে শট নিতে গিয়ে তিনি বাইরে মারেন। বাংলাদেশের পঞ্চম শটটি নিতে আসেন পুষ্কর ক্ষিসা মিমো। এই শটে বাংলাদেশ গোল করলেই চ্যাম্পিয়ন। মিমো গোল করলে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার হকি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের উৎসব হয়। মিমো-জিমিদের উৎসবে জার্কাতার হকি কমপ্লেক্স যেন রূপ নেয় মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে।
এর আগে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ১৪ মিনিটে বাংলাদেশ লিড নেয় সোহানুর রহমান সবুজের গোলে। প্রথম কোয়ার্টার ১-০ গোলে শেষ হয়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের চার মিনিটে আল ফাহাদের গোলে ওমান সমতা আনে। এর পর ম্যাচের বাকি সময়ে দুই দলের কেউ গোল করতে পারেনি।
দুই দলই ততোধিক পেনাল্টি কর্নার পেলেও এর মাধ্যমে গোল আদায় করতে পারেনি। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ওমানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গ্রুপে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরানকে হারানোর পর সেমিফাইনালে কাজাখস্তানকে হারায়। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।
আরবিসি/২০ মার্চ/ রোজি