নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ২০১৪ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৯ জনের ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় সম্পৃক্ততা না থাকায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ-২ এর বিচারক হাসান মাহমুদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ফরহাদ হোসেন।
রায়ে বলা হয়, দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারা মোতাবেক আসামীদের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় মামলার ২০ আসামীর মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্য আরেক আসামীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়। বাঁকি ১০ আসামীর অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বদলগাছীর উজালপুর গ্রামের সাইদুল, আইজুল হক, হেলাল হোসেন, জালাল হোসেন, বেলাল হোসেন, জায়েদ, আবুল হোসেন, মোস্তফা ও সোহাগ আলী। এদের মধ্যে সাইদুল, জায়েদ ও সোহাগ পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে আসামি হাসেম আলীর। তিনি বদলগাছীর উজালপুর গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর কান্নায় ভেঙ্গেপড়ে আসামী পক্ষের স্বজনরা। তবে রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোস প্রকাশ করলেও উচ্চ আদালতে যাবার কথা জানিয়েছেন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক মাহমুদুল হাসানা বলেন, সামান্য বিষয় থেকে এই ধরণের হত্যাকান্ড খুবই মর্মান্তিক। এই ধরণের হত্যাকান্ডের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য সমাজে একটা বার্তা দেয়া উচিত।
বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি মোজাহার হোসেন ও আব্দুল্লাহেল বাকী। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।
গত ২০১৪ সালের ৬ জুন বিকেলে বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। এ সময় আসামী পক্ষের হামলায় শহিদুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন ও আব্দুল ওয়াদুদ মরাযান। পরে নিহত শহিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেখানে ২৪ জনকে আসামী করা হলে চার্জশীটে দুইজনের নাম বাদ দেয়া হয়। আর বিচার চলাকালিন অবস্থায় মারা যান দুইজন।
আরবিসি/১৪ মার্চ/ রোজি