স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের বাজার অস্থির। ক্রমান্বয়ে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া ও বাজারে বোতলজাত তেলের দুষ্প্রাপ্যতায় ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছিল অসন্তোষ। তবে বুধবার থেকে রাজশাহীর বাজারে কিছুটা কমেছে পাম অয়েল ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম। তবে বেড়েছে সরিষা তেলের দাম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর সাহেববাজার, শিরোইল কাঁচাবাজার, লক্ষ্মীপুর ও কোট বাজার এলাকা ঘুরে এমনটাই জানা যায়।
দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ৫ টাকা কমে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল লিটারে বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা কমে। তবে বোতলজাত তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার পাম অয়েলের একটি ড্রাম কিনেছেন ২৯ হাজার টাকায়, যা গত দুই সপ্তাহ ধরে ছিল ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক হাজার টাকা বেশি। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেলের একটি ড্রাম কিনতে হচ্ছে ৩২ হাজার ৮০০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ ধরে কিনতে হচ্ছিল ৩৩ হাজার টাকায়। অর্থাৎ পাম অয়েলের দাম কমেছে লিটারে ৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলে ২ টাকা।
রাজশাহী শহরের অধিকাংশ দোকানির ভাষ্য, পাম তেল ও খোলা সয়াবিন তেল কোম্পানিগুলো থেকে মিললেও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দেখা মিলছে না। বারবার অর্ডার করেও কোম্পানি কোনো মাল দিচ্ছে না।
নগরীর সাহেববাজারের জনপ্রিয় মুদি দোকান টুটুল স্টোর। ওই দোকানের ম্যানেজার মো. আব্দুল মমিন গোলাপ বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে ক্রমান্বয়ে দাম বাড়ায় বাজারে সয়াবিন তেলের গ্রাহক তুলনামূলক কমেছে। তবে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও অভিজাত শ্রেণির মানুষ পাম ও সয়াবিন তেল প্রতিদিনই কিনছেন।
আরবিসি/১০ মার্চ/ রোজি