স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়ায় হোসনেয়ারা প্রান্তি (১৬) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলা সদরের গণ্ডগোহালী গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হোসনেয়ারা প্রান্তি ওই গ্রামের হাসানুজ্জামান বাবুর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর লাশ বাড়ির পাশের একটি আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কিশোরীর মা-বাবা ও ভাইসহ পাঁচ সদস্যকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রান্তি গত বছর পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে পৌর সদর এলাকার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলামকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে উভয় পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। তবে প্রান্তি মাঝেমধ্যে তার দাদা নাজিম উদ্দীনের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। কয়েক দিন আগে তিনি এখানে বেড়াতে আসেন। শনিবার ভোরে ঘরের সঙ্গে একটি আমগাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।
প্রান্তির দাদা নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘রাতে সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। এরপর সকালে ফজরের নামাজ পড়তে বের হই। বাড়ির বাইরে গিয়ে প্রান্তিকে আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তার শরীর ও মুখমণ্ডল ধুলোবালিতে মাখানো ছিল। কয়েক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।’
প্রান্তির বাবা হাসানুজ্জামান বাবু বলেন, ‘কিছুদিন আগে মেয়ে আমাদের এখানে বেড়াতে আসে। এরপর গত বৃহস্পতিবার মেয়েটি লোকমুখে শুনেছে, তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। এ খবরে দুঃখে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।’ মেয়েটির মুখমণ্ডল ধুলাবালি ও কয়েক স্থানে আঘাতের চিহ্ন কীভাবে এল এমন প্রশ্নে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ডের শিকার, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়ের বাবা-মা, দাদা-দাদি ও তার ভাইকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।’
আরবিসি/০৫ মার্চ/ রোজি