আরবিসি ডেস্ক : ইউক্রেনের দক্ষিণ সীমান্তের শহর মারিওপোলে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বোমা হামলার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
মারিওপোলের উপ-মেয়রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
উপ-মেয়র সেরহি অরলভ জানান,‘মারিওপোল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকরা বের হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কিন্তু শহর ছেড়ে বের হওয়ার পথে এখনও গোলা বর্ষণ করছে রুশ বাহিনী।’
‘মারিওপোল শহরে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই এবং শহর ছেড়ে বের হওয়ার পথেও যুদ্ধবিরতির নিয়ম মানা হচ্ছে না।’
শনিবার ইউক্রেনের দুটি শহর থেকে বেসামরিক নাগরিক বের হওয়ার জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া সম্মত হয়। এক্ষেত্রে রেডক্রস সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
প্রায় দুই লাখ মানুষ মারিওপোল শহর ছাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাসে ছয় হাজার মানুষ শহর ছাড়ার কথা ছিল। বাকিরা বাসে ধীরে ধীরে শহর ছাড়বে বলে আশা করা হলেও গোলাবর্ষণের কারণে বর্তমানে সবাই বাড়িতে বন্দি রয়েছে।
মস্কোর জন্য শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ শহরের মাধ্যমে ক্রিমিয়া, দনতেস্ক ও লুটেস্ক এর মধ্যে সড়ক পথে সংযোগ রয়েছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে বহু বেসামরিক নাগরিক নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির দাবি, রুশ হামলায় দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
গত ৪ মার্চ পর্যন্ত ৩৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু করবে আইসিসি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ করেছে। কারণ যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক হত্যা করা হলে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
যদিও রাশিয়া বেসামরিক নাগরিক হত্যার দাবি অস্বীকার করেছে।
বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় বিশ্বে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে রাশিয়া। এ কারণেই সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটি।
আরবিসি/০৫ মার্চ/ রোজি