স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পবায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বুলডোজার দিয়ে সদ্য নির্মিত আধা-পাকা স্থাপনাটি ভেঙে ফেলা হয়। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পবা উপজেলার মধুসূদনপুর মৌজায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) জমি দখল করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেন আমজাদ আলী নামে একব্যক্তি।
কিন্তু রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার নথিতে দেখা যায়, ১৯৭৩-৭৪ সালে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এতে দেখা যায়, এলএ কেস নং-৩৪/৭৩-৭৪ এ জেএল নং-৮৫’র ৩৬৬ দাগে ১৫ শতাংশ জমির ১৫শতাংশেরই প্রাপ্য মূল্য বুঝিয়ে দেয়া হয় তৎকালীন মালিক রহমান মণ্ডল দিগরকে। অধিগ্রহণের ফলে জমির মালিকানা ন্যস্ত হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওপর।
এদিকে সরকারি জমি দখলের খবর পেয়ে গত ২ জানুয়ারি রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে আমজাদ আলীকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সওজের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী আমির হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় দুদক কর্মকর্তারা নির্মীয়মান স্থাপনা ভেঙে ফেলে সরকারি জায়গা খালি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেন নি আমজাদ আলী। নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন তিনি।
পরে অবৈধ স্থাপনা নিজ দায়িত্বে উচ্ছেদে এলাকায় মাইকিং করে সওজ। এরপরও নির্মাণকাজ চলতে থাকে। এ অবস্থায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ চেয়ে রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম চিঠি দেন জেলা প্রশাসককে। একইদিন জেলা প্রশাসক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালানার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল ইসলামকে নিয়োগ প্রদান করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল ইসলাম বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে একব্যক্তি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। তবে কাগজপত্র যাচাই শেষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সে স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুর রহমান বলেন, ওই জমিটা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল ৪৬ বছর আগে। কিন্তু হঠাৎ করে আমজাদ আলী নামের এক ব্যক্তি এখন ভোগদখলে নেয়ার চেষ্টা করে। মহাসড়কের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা তার নিজ খরচে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিসও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি তা মানেন নি। তাই আইনি ব্যবস্থা অনুযায়ী স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আরবিসি/০৪ মার্চ/ রোজি