আরবিসি ডেস্ক : রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে সাত দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। দুই দেশের মধ্যে যেমন অস্ত্রের যুদ্ধ চলছে, তেমনি বিশ্বনেতাদের বাগযুদ্ধ থেমে নেই।
এই বারুদ আর বাগযুদ্ধের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় শান্তি আলোচনায় বসছেন রুশ ও ইউক্রেনিয়ান কর্মকর্তারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় এই শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস। এ দফার বৈঠক কোথায় হবে, তা বলা হয়নি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদল কথা শুরু করতে প্রস্তুত’।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পঞ্চম দিনে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শান্তি আলোচনায় বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে বেলারুশের গোমেল এলাকায় ওই বৈঠক হয়। প্রথম দফার ওই বৈঠকে কোনো বোঝাপড়া হয়নি।
পেসিডেন্ট পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদনিস্কি এ দফাতেও রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে খবরে বলা হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আসন্ন বৈঠক নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি অ্যারেস্টোভিচ সাসপ্লাইন টিভিকে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না কোনো কিছু বদলাবে, একই রকম থাকবে। আমরা আমাদের দাবিতে অনড় থাকব। বৈঠকে সেই একই মানুষজন থাকছে’।
এদিকে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ‘নজিরবিহীনভাবে’ একজোট হয়েছেন। তারা রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্টেট অফ দি ইউনিয়নে জো বাইডেনের বক্তব্যের সময় আইনপ্রণেতাদের ওই ‘বিরল ঐক্য’ দেখা যায়।
এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আগামীতে কী ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোনো ধারণাই নেই। এই পরিস্থিতির জন্য পুতিন একাই দায়ী।
মার্কিন আকাশসীমায় রাশিয়ার সব ধরনের ফ্লাইট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথাও জানান বাইডেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে রুশ বাহিনী দেশটির একের পর এক শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সপ্তম দিনের মতো যুদ্ধ চলছে।
যুদ্ধে ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত ১৩৬ জন নিহত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেন থেকে অন্তত ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা।
আরবিসি/০২ মার্চ/ রোজি