স্টাফ রিপোর্টার : বিকাশ প্রতারণা বিষয়ক সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট। বুধবার জনস্বার্থে প্রচারণা মুলক রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান উৎপল চৌধুরী তার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনা গুলি হচ্ছে, বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে পিন কোড নিয়ে একাউন্টের সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করা। উপবৃত্তির টাকা দেয়ার কথা বলে প্রলুব্ধ করা। বিকাশের কাস্টমার কেয়ার সেজে একাউন্ট বন্ধের কথা বলে প্রতারণা করা। বিভিন্ন চাকুরির অফার দিয়ে প্রতারণা করা। অন লাইনে বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটার অফার দিয়ে প্রতারণা করাসহ বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন, ভয়, লোভ দেখিয়ে তথ্য নেয়া।
এই রকম বিকাশ প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকতে আপনাকে যা করতে হবে, কোন লোভনীয় ফাঁদে পা না দিয়ে কখনোই পিনকোড শেয়ার করবেন না। উপবৃত্তির দেয়া কথা বলে বা কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কেউ কোন তথ্য চাইলে তার পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কোন তথ্যই শেয়ার করবেন না। আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা ক্যাশ ইন হওয়ার পরপর কেউ এজেন্ট সেজে ফোন দিলে অবশ্যই সেটা এড়িয়ে যাবেন কারণ টাকা ক্যাশ ইন হয়েছে মানে আপনার একাউন্ট ঠিক আছে।
বিকাশের কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন দিয়ে কখনোই আপনার পিন কোড নাম্বার জানতে চাইবে না। যদি জানতে চায় তাহলে বুঝবেন সে প্রতারক। আপনার বিকাশ একাউন্ট কেউ হ্যাকড করার চেষ্টা করলে আপনার নাম্বারে যে ওটিপি কোড যাবে তা কখনোই শেয়ার করবেন না। কাস্টমস কেয়ার নাম্বারের মত দেখতে একই রকম নাম্বার হলেও দেখবেন অবশ্যই কোন পার্থক্য আছে যেমন ++ চিহ্ন, সকল ডিজিট একই রকম বা ইন্টারনেট কল।
বিভিন্ন চাকুরির অফার দিয়ে আপনার কাছে খরচ বাবদ টাকা চাইতে পারে। মনে রাখবেন চাকুরিদাতা আপনাকে চাকুরির জন্য টাকা দিবেন আর প্রতারকরা আপনার কাছে টাকা চাইবে। অন লাইনে কেনা-কাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই পণ্য হাতে পাওয়ার পর যাচাই করে টাকা দিবেন। এর পরও যদি আপনি প্রতারণার শিকার হোন তাহলে দেরি না করে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ/ জিডি করবেন এবং এক কপি নিয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে সরাসরি যোগাযোগ করবেন অথবা চলে আসবেন।
এছাড়া সবচেয়ে যে বিষয়টি জরুরি তা হচ্ছে, উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকার পাশাপাশি আপনার সচেতনতা আপনাকে যে কোন প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে পারে।
আরবিসি/১৬ ফেব্রুয়ারী/ রোজি