• সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

রং ও কেমিক্যালের মিশ্রনে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়

Reporter Name / ১২৬ Time View
Update : শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাটে আখ ও খেজুর গুড়ের চিটা, আটা, কাপড়ে ব্যবহার করা রং ও ক্যামিকেলের মিশ্রনে তৈলী করা হচ্ছে গুড়। উৎপাদিত এসব ভেজাল গুড় বিক্রি স্থানীয় বাজারসহ ও দেশের বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে।

দীর্ঘদিন ধরে চারঘাটের বিভিন্ন এলাকায় এমন অবৈধ কর্মকান্ড চলে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন অনেকটায় নির্বিকার। ব্যবস্থা না নেওয়ায় বীরদর্পে চলছে ভোজাল গুড়ের কারবার। তবে প্রশাসনের দাবি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আখের গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছে সুগারমিলের পরিত্যক্ত চিটাগুড়, চিনি, হাজার পাওয়ারের রং ও আটা। মুলত: খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছে রসের পাশাপাশি চিনি, রং এবং আটা।অধিক লাভ ও ওজন বৃদ্ধির জন্য গুড় উৎপাদনকারীরা এ সকল ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন।

উপজেলার ভায়ালক্ষীপুরের ইউনিয়নের বুদিরহাট, ডাকরা, চারঘাট ইউনিয়নের পরানপুর, গওরা, কাকঁড়ামারী, মেরামতপুর দিড়িপাড়া, নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছি, কালুহাটি, শলুয়ার জাগিরপাড়া, হলিদাগাছি, মাড়িয়া, বামদিঘী, ইউসুফপুরের বাদুড়িয়া, টাঙ্গন, সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা, খোর্দ্দগবিন্দপুর, চারঘাট পৌরসভার মোক্তারপুর, মিয়াপুরে আখ ও খেজুরের গুড় তৈরি হচ্ছে। এ সকল এলাকায় সরকারীভাবে নিষিদ্ধ আখ মাড়াই কল দিয়ে আখের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছেন। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অধিক লাভের জন্য সামান্য পরিমান আখের রসের মধ্যে চিটাগুড়, ক্ষতির হাইড্রোজ, রং ও চিনি ব্যবহার করে তৈরি করছেন ভেজাল আখের গুড়। এছাড়াও খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছেন চিনি, আটা, হাইড্রোজ ও কেমিক্যাল রং। এলাকাবাসী জানান এ সকল ভেজাল আখ ও খেজুর গুড় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে বাজারজাত করছেন।

চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য স্যানিটারি পরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা লোকমান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মেরামতপুর ও মিয়াপুরের কয়েকটি গুড়ের কারখানা পরিদর্শন করে স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষায় মাত্রাতিরিক্ত কেমিকেল পাওয়া গেছে। তবে খুব দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।

চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি, তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরবিসি/১২ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category