নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সাবাড় করে পুকুর খনন করছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। বন উজাড় করে নির্বিঘ্নে অন্তত ১০ বিঘা জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলেও নিরব প্রশাসন।
উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বাগান কেটে পুকুর খননের এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।
পুকুর খননকারী ব্যক্তির নাম আব্দুল হামিদ। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল বিশাল আকৃতির আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে কেটে ফেলা হচ্ছে একের পর এক ছোটবড় তাজা গাছ। ফলদ গাছের পাশাপাশি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছও।
কাটা গাছ ও এর ডালপালা তড়িঘড়ি সরিয়ে নিতে কাজ করছে একদল ভ্যানশ্রমিক। একই সঙ্গে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, জমির মালিক অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। সেই প্রভাব খাটিয়ে বাগান কেটে পুকুর খনন করছেন তিনি। পুকুরের মাটি পরিবহনে কাঁচা গম কেটে রাস্তা বানানো হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে ট্রাক্টর। একই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে প্রামীণ রাস্তা।
জমির মালিক আব্দুল হামিদ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিমালিকানার জমিতে পুকুর খনন করছি। এতে কারো কিছু যায়-আসে না।’
জমির শ্রেণি পরিবর্তনে ভূমি দপ্তরের অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানাতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসে কথা বলেই কাজ করছি। ওই দপ্তরের কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন জানতে চাইলে তার নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়েছি। ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরবিসি/১২ ফেব্রুয়ারি/ রোজি