আরবিসি ডেস্ক : তানজিন তিশা নামটিই যথেষ্ঠ তার পরিচয়ের জন্য। নাটকের দর্শকের কাছে তিনি ভীষণভাবে পরিচিত, জনপ্রিয়। দীর্ঘদিন ধরেই ছোট পর্দায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তবে এবার তিনি আসছেন একটু ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, আর অনেকটা ব্যতিক্রম চরিত্রে।
প্রজেক্টের নাম ‘লোহার তরী’। এটি একটি ওয়েব ফিল্ম। নির্মাণ করেছেন হালের জনপ্রিয় নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই থিয়েটারে দেখা যাবে সিনেমাটি।
মুক্তি উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে ‘লোহার তরী’র ট্রেলার। সেখানে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন তানজিন তিশা। নিজেকে গণ্ডির বাইরে এনে ভিন্ন রূপ আর অভিনয়শৈলিতে চমক দেখিয়েছেন। তাই ট্রেলার দেখেই অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্ত-দর্শকরা। পুরো সিনেমা মুক্তির পর সেই প্রশংসার পাল্লা আরও ভারি হবে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
এদিকে যিনি তানজিন তিশাকে এমন রূপে হাজির করছেন, সেই নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারও বাদ পড়লেন না অভিনেত্রীর বন্দনা থেকে। ঢাকা পোস্টের কাছে তিনি অকপটে জানালেন তিশার পরিশ্রম ও ত্যাগের কথা।
সঞ্জয়ের ভাষ্য, ‘তিশাকে গল্পটা বলার পর থেকেই তিনি নিজের মধ্যে সেটা ধারণ করেছে, লালন করেছে। এরপর শুটিংয়ে এসেও তিনি অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন। লঞ্চ থেকে লাফ দিতে হয়েছে, সেটাও আবার রাতে। তার ওপর ওই সময়ে কীর্তনখোলা নদীতে অনেক বেশি স্রোত ছিল। যদিও পর্যাপ্ত লাইফগার্ড ছিল। কিন্তু এরপরও অনেকে তো এমন রিস্ক নিতে চান না। তিশা ও মনোজদা গল্পের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজেরাই কাজটি করেছেন।’
কখনো সাদাসিধে, কখনো গ্ল্যামারাস, চঞ্চল তরুণীর রূপে দেখা গেছে তানজিন তিশাকে। তবে ‘লোহার তরী’তে তিনি ধুমপানও করেছেন। নির্মাতা সঞ্জয় বলেন, ‘পর্দায় এবারই প্রথম তিশা ধুমপান করেছেন। অবশ্যই তা চরিত্রের প্রয়োজনে। সুতরাং তিনি অনেক বেশি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।’
এই ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ছিল রাত। সঞ্জয় জানান, লঞ্চে করে একবার বরিশাল যাওয়া, আবার আসা; সারারাত শুটিং করা, দিনে ঘুমানো। সবমিলিয়ে অনেক বেশি শারীরিক ও মানসিক শ্রম দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেছেন তারা।
এদিকে ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও জানালেন তানজিন তিশা। তিনি বলেন, ‘ফিল্মের একটি দৃশ্যে আমি লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছি। যদিও আমি খুব ভালো সাঁতার জানি না, তারপরও এটা করেছি। সাঁতার জানলেও স্রোতের মধ্যে নদীতে সাঁতার কাটা খুব একটা সহজ নয়। সাঁতার কেটে ডানদিকে আসতে চাইলে স্রোত আমাকে বামদিকে নিয়ে যেত। আমি তো এক পর্যায়ে লঞ্চের নিচে চলে যাচ্ছিলাম! এটা আমার জন্য খুবই ভয়ংকর একটা অভিজ্ঞতা ছিল। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে সেরাটা দিয়ে কাজ করতে। আমার বিশ্বাস, দর্শক সেই পরিশ্রমের প্রমাণ পাবেন।’
উল্লেখ্য, ‘লোহার তরী’ ওয়েব ফিল্মের গল্পটি রহস্যে ঘেরা ও রোমাঞ্চকর। এটি যৌথভাবে লিখেছেন সঞ্জয় সমদ্দার ও নাজিম উদ দৌলা। এতে তানজিন তিশা ও মনোজ প্রামাণিক ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন খন্দকার লেনিন, শাহজাহান সম্রাট, সেমন্তী সৌমি, শাহেদ আলী, প্রিয়ন্তী উর্বি, ডন, টাইগার রবি প্রমুখ।
আরবিসি/০৮ ফেব্রুয়ারি/ রোজি