• শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে বাড়িছাড়া পরিবার

Reporter Name / ৬৮ Time View
Update : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার একটি পরিবার ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বখাটেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা এবং ওই ঘটনার ভিডিও করার অভিযোগে মামলা করার পর আসামিপক্ষ পরিবারটির বিরুদ্ধেও পরবর্তীতে দুটি মামলা দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটির দাবি, মামলাগুলো মিথ্যা। তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারটি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তরুণী, তাঁর বাবা, মা, দাদি এবং ফুফাতো বোনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাবা কাস্টমস বিভাগের একজন উপ-পরিদর্শক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কলেজে আসা-যাওয়ার পথে চারঘাটের গৌড়শহরপুর কুঠিপাড়া গ্রামের বখাটে যুবক জাফর আলী (২৮) তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তার মেয়ে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে উত্যক্ত করা হতো। বাধ্য হয়ে তিনি জাফরের পরিবারে অভিযোগ দেন। এতে জাফর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

গত বছরের ২৪ জুন কলেজছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন জাফর আলী ও তার বন্ধু জীবন আলী, সাব্বির হোসেন, রাতুল ও লিখন দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে সবাই ধর্ষণের চেষ্টা করে। আর ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে ওই কলেজছাত্রীকে যারা জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলে বখাটেরা বাড়ির জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা চারঘাট থানায় গেলেও আসামিদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে মামলা নেননি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। পরে আদালতে মামলা করা হয়। আসামিরা আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। বর্তমানে আসামিরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার পর আসামিদের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। একটি মামলায় নারী নির্যাতন এবং অন্যটিতে ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাগুলোতে ঘটনার সময় যেটি বলা হয়েছে সে সময় তিনি কর্মস্থলেই ছিলেন। পুলিশ যাচাই না করেই মামলা নিয়েছে। আর বখাটেদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, তার এক ভাগনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স। রাত-বিরাতে বাড়ি ফেরার সময় তারও পিছু নেয় আসামিপক্ষের লোকজন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হামলার ভয়ে তারা বাড়িতেও থাকতে পারছেন না। গ্রামের শামীম সরকার নামের এক ব্যক্তির আস্কারায় আসামিপক্ষ বেপরোয়া বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। স্বাধীনতার এত বছর পর এখন আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আমরা আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা চাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুপক্ষেরই মামলা আছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে তদন্তে যেটা সঠিক পাওয়া যাবে সেটা হবে।’ বখাটেরা সবাই মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করলেও মামলা না নেওয়ার বিষয়েও ওসি কোন মন্তব্য করেননি।

আরবিসি/০৭ ফ্রেব্রুয়ারী/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category