• শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

বুধবার থেকে ট্রেনের টিকেট অনলাইন-কাউন্টারে

Reporter Name / ১২৬ Time View
Update : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : কোভিডের বিধিনিষেধ শিথিল করে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার স্বার্থে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এ কারণে দীর্ঘদিন পর আবারও শতভাগ টিকেট নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা।

আগামী বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শতভাগ যাত্রী নিয়েই আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করবে। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করে আসছিল।
সোমবার ট্রেন ভ্রমণকারী বা যাত্রীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ ট্রেন ভ্রমণের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী।

তিনি বলেন, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেনে। করোনার মহামারির কারণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে পুনরায় শতভাগ যাত্রী বহনের এই সিদ্ধান্ত দেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ জন্য আগামী বুধবার থেকে ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইনে ও ৫০ শতাংশ টিকেট কাউন্টারে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার স্বার্থে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রেলের নতুন এই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, কাউন্টার টিকিট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, আন্তঃনগর ট্রেনে শতভাগ যাত্রী পরিবহনে টিকিট ইস্যু, মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে ও ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রি, আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের ফ্লাটফর্ম টিকিট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা, রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও আন্তঃনগর ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাশ কোটা ব্যতিত সব ধরনের কোটা বাতিল এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং ও ট্রেনে রাত্রীকালীন বেডিং সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জারি করা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি থাকবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বিভিন্ন টিকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ফলে ট্রেনে যাত্রী চাপ বেড়েছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার স্বার্থে যাত্রী চাহিদা পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেজন্য সার্বিক দিক বিবেচনায় রেলওয়ে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসা যৌক্তিক বলে মনে করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আরবিসি/০৭ ফেব্রুয়ারী/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category