স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর ভদ্রা রেলওয়ে কলোনী এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই নেতার নাম জহুরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা। তিনি রেলের পোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন, পাশাপাশি রেলওয়ে ওপেন শাখা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি। এর আগে তিনি নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে প্রতিবেশী রেলওয়ের ওপর কর্মী সজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সময় হাসুয়ার কোপে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান জহুরুল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জহুরুলের লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সজিবের পিতা মতিয়ারকেও গ্রেফতার করে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রেলওয়ে কলোনী থেকে পূর্বদিকে এবং ভদ্রা বস্তি থেকে পশ্চিম দিকে প্রকাশ্যে ঘটনাটি ঘটে। তিনি জানান, বাড়ির পাশে রেলের পরিত্যাক্ত জমিতে চাষাবাদ করেন জহুরুল। এ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো প্রতিবেশী সজিব ও তার পিতা মতিয়ারের সঙ্গে। শুক্রবার দুপুরে জহুরুল ওই জমিতে পরিচর্যার জন্য গেলে প্রতিবেশী মতিয়ার, তার স্ত্রী ও ছেলে সজিব জহুরুলের সঙ্গে তর্কে-বিতর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে মতিয়ারের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে জহুরুলকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি মো. ইমরান আলী জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি জানান, জহুরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত মতিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরবিসি/২৮ জানুয়ারি/ রোজি