স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে গত শনিবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রবিবার রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মাঘের শুরুতে হঠাৎ করে তাই বাড়ছে শীতের দাপট। হু হু করে দিনভরই বয়ে চলেছে ঠাণ্ডা বাতাস। হাড় কাঁপানো এই শীতে কাবু হয়ে পড়েছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ।
রোববার সকাল থেকেই রাজশাহীতে মাথায় উলের টুপি, গলায় মাফলার আর শরীরে গরম কাপড় জড়ানো ছাড়া বাইরে বের হতে পারছেন না কেউ। সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে দুর্ভোগে পড়েছেন সবাই। মাঘের এই শীতে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ কাতর হয়ে পড়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএসএম গাউসুজ্জামান বলেন, কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা নামছে। রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এজন্য অস্থায়ীভাবে দেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া কুড়িগ্রাম এবং পঞ্চগড় জেলায় যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ শৈত্যপ্রবাহ রংপুর বিভাগের অন্যান্য এলাকায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরবিসি/১৬ জানুয়ারি/ রোজি