আরবিসি ডেস্ক : করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের দাপটের মধ্যে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেল।
বিশ্বে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াতে এক বছর সময় লাগলেও ডেল্টার দাপটে পরের ১০ কোটি শনাক্তে লাগে অর্ধেক সময়। তবে এর পরের ১০ কোটি শনাক্তে সময় লেগেছে আরও কম, মাত্র পাঁচ মাস বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে।
মূলত টিকা না নেওয়া ব্যক্তি ও ওমিক্রনের সুনামিতে কোভিড মহামারীতে রোগী শনাক্তের এ উল্লম্ফন ঘটেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুঃখজনক এ মাইলফলক পেরিয়ে যায় বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে মানবদেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম খবর আসে। এরপর সেই ভাইরাস দ্রুত পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্তে পৌঁছে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মহামারী ঘোষণা করে। ওই বছর ২৮ জুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছায়। এক বছরের কিছু সময় পর গেল বছর ২০২১ এর ২৭ জানুয়ারি এ সংখ্যা ১০ কোটির ঘর ছড়িয়ে যায়।
ডেল্টার ভয়াবহতা স্তিমিত হয়ে আসার পর এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরন ওমিক্রন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ওমিক্রন সংক্রমিতদের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থতার ঘটনা কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। ডেল্টার সময় যা বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি করেছিল বিশ্বজুড়ে।
একই সঙ্গে জটিলতা থেকে সুরক্ষায় টিকার কার্যকারিতা দেখা যাওয়ার কথাও বলছেন তারা। তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশে ওমিক্রনের দাপটে কোভিড রোগীর সংখ্যায় উল্লম্ফন ঘটে। অবশ্য আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এতে হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কম।
আরবিসি/০৭ জানুয়ারি/ রোজি