আরবিসি ডেস্ক : ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ফইজুদ্দীন মন্ডল (৪৮) নামে এক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী নার্গিস বেগমের বুদ্ধিমত্তায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৪ ডাকাত। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে গাজীরটেক ইউনিয়নের চরসুলতানপুর তাহেরে ব্রিজ সংলগ্ন ফইজুদ্দীনের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশকালে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ নার্গিস জানান, একতলা বাড়ির এক কক্ষে জানালার দিকে মাথা দিয়ে তিনি শুয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে বারোটার দিকে জানালার কাছে শব্দ পেয়ে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘরে লাইট জ্বালানো থাকায় তিনি দেখতে পান হেক্সোব্লেড দিয়ে জানালার পাল্লার ছিটকানি কাটার চেষ্টা করছে। তখন তিনি অন্যান্য কক্ষে থাকা দেবরের স্ত্রী জুই বেগম ও অন্যান্যদের ডেকে তোলেন। এছাড়া মুঠোফোনে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বিষয়টি জানান।
পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত পরার বিষয়টি জানালে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময় ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাম্মন্দী গ্রামের জমির মোল্যার ছেলে আবুল মোল্যা (৪১), ভদ্রকান্দা গ্রামের নূরুদ্দীন খালাসীর ছেলে ছিদ্দীক খালাসী (৪৪), সোনামূখী চর গ্রামের খালেকের ছেলে আরিফ (৩৮) ও কোতয়ালী থানার বোকাইল গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (৩৬) জনতার হাতে আটক হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন।
খবর পেয়ে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আওলাদ হোসেন ও জাহিদ হোসেন ইসলাম পুলিশ ফোর্সসহ তাদের আহত অবস্থায় ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কাটারস্লাই রেঞ্জ, তিনটি ছুরি, দুটি স্ক্র ড্রাইভার, ৩টি এনআইডকার্ড, একটি ইমিটেশনের বালা, ২টি বাটন মোবাইল ফোন, দু’টি ঘড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর প্রথমে তাদের চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরবিসি/২৮ ডিসেম্বর/ রোজি