স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন মিজানুর রহমান (২৬) নামের এক ইমাম। রাজশাহী নগরের টুলটুলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাজীহাটা ধরমপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাবার নাম এমারত আলী। তিনি গোদাগাড়ীর একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার ঢাকার গাবতলী থেকে মিজানুরকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে নগর ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, মিজানুর ২০১৪ সাল থেকে ‘ফরেক্স ফ্যাক্টরি’ নামের একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন। প্রথমদিকে ভাল লাভ করলেও ধীরে ধীরে তার লোকসান হতে থাকে। তিনি বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করে ৩১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। একপর্যায়ে সব টাকাই তিনি হারিয়ে ফেলেন।
এই ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি অপহরণের নাটক সাজান। গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি আত্মগোপন করেন। তারপর বাড়িতে ফোন করে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। পরবর্তীতে ১০ লাখ এবং সবশেষ ৫ লাখ টাকা দাবী করেন। তবে টাকা না দিয়ে মিজানুরের মা মনিরা বেগম নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতেই ডিবি পুলিশ মিজানুরের অবস্থান শনাক্ত করতে কাজ শুরু করে।
আরেফিন জুয়েল জানান, মিজানুর হরদম নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। অবশেষে তাকে ধরা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর সাংবাদিকদের জানান, ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য তিনি নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। মিজানুর বলেন, ‘আমার একটা ভুলের কারণে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এ জন্য আমাকে এই কৌশল নিতে হয়েছিল।’
আরবিসি/২২ ডিসেম্বর/ রোজি