আরবিসি ডেস্ক : ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশে অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। যাঁদের বেশির ভাগই পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। বাকিরা তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান, কেরালা ও গুজরাটে।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের পরিচালক রলদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ব্রিটেন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতকে যেকোনো অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দরকার প্রবল নজরদারির।
অমিক্রন ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৯০টি দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের ক্ষমতার ক্ষেত্রে ডেলটা প্লাসের চেয়ে শক্তিশালী অমিক্রন। তবে রোগীকে কাবু করার ক্ষমতা কতখানি, সে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এটাই চিন্তার।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়ার চিন্তা টিকা নিয়েও। টিকার বিরুদ্ধে অমিক্রন কতটা সাড়া দিচ্ছে, তা এখনো নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। টিকার কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা চলছে। দিন কয়েকের মধ্যে সেই ফলাফল জানা গেলে তখনই বুস্টার ডোজের ব্যবহার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা তাদের তৈরি ‘ইন্ট্রানেজাল’ প্রতিষেধককে বুস্টার ডোজ হিসেবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
অমিক্রন চিন্তা বাড়ালেও কোভিডের মোট সংক্রমণ ভারতে এখন খানিকটা কমের দিকেই। মঙ্গলবার সারা দেশে সংক্রমণের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের নিচে ছিল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণের চরিত্র বুঝতে সব রোগীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অমিক্রনের প্রকোপ বাড়ার সময়েই বছরের শেষ উৎসবের দিনক্ষণ হাজির। বড়দিন এবং বর্ষশেষ ও শুরুর আনন্দে রাশ টানতে দিল্লি সরকার বেশ কিছু সাবধানতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। যদিও এখনো পর্যন্ত এটা স্পষ্ট, অমিক্রন উৎসবের মেজাজ মলিন করতে পারেনি।
আরবিসি/২১ ডিসেম্বর/ রোজি