স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহীর বাগমারায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পত্র তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাত নেতা। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার তারা চাপের মুখে পড়েন শুরু থেকেই। তবে দলীয় চাপ এড়াতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তারা তাদের পদত্যাগপত্র উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছেন। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর পদত্যাগপত্র গ্রহনের কথাও স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ৫ জানুয়ারি বাগমারা উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ছিলো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরই মধ্যে ঘোষণা আসে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে পদধারী নেতা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবেন তাদের বহিস্কার করা হবে। তবে ওই সিদ্ধান্তের আগেই দল থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন ৭ বিদ্রোহী প্রার্থী।
পদত্যাগকারী এসব আওয়ামী লীগ নেতারা আগামী ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। এরা হলেন, বাসুপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আব্দুল জব্বার মণ্ডল, নরদাশ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুর রশিদ, কাচারীকোয়ালীপাড়া ইউপি থেকে মোজাম্মেল হক, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা কমিটির সদস্য শাফিনুর বেগম। এছাড়া যোগিপাড়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা কমিটির সদস্য মাজেদুল ইসলাম সোহাগ ও আউসপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিার এনামুল হক বলেন, যে সব বিদ্রোহী প্রার্থী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তাদের পদত্যাগপত্র আমরা গ্রহন করেছি। যারা পদত্যাগ করেননি তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময় অতিবাহিত হওয়া মাত্রই বহিস্কার করা হবে।
আরবিসি/১৯ ডিসেম্বর/ রোজি