• সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি

Reporter Name / ৮২ Time View
Update : বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। রাজশাহীতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা পুলিশ লাইন্সে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে।

সকাল সাড়ে ৭ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ৯ টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অভিবাদন গ্রহন করবেন।
বেলা ১১ টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

বেলা সাড়ে ১১ টায় রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিকেল ৪ টায় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থানে বিকেল সাড়ে ৪ টায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও ৫ টায় বিজয় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

এ দিন সুবিধামত সময়ে, রাজশাহী শিশু একাডেমিতে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাসরি বা অনলাইন বা ই-মেইল অথবা ডাকযোগে রচনা প্রতিযোগিতাসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, শিশু একাডেমি, বৃদ্ধাশ্রম, ছোটমনি নিবাস, অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এসওএস, শিশুপল্লী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, বেসরকারি এতিমখানায় এদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করবেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাদ জোহর সকল মসজিদে এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধা মত সময়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর (উভয় দিন) সন্ধ্যা হতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।

বিজয় দিবসে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক, সড়কদ্বীপ ও বিভিন্ন স্থাপনা জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দ্বারা সজ্জিত থাকবে। এদিন পার্ক, যাদুঘর বিনা টিকেটে শিশুদের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

আরবিসি/১৫ ডিসেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category