স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটুক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে মেয়র পদ থেকে আব্বাস আলীকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা গেছে। তবে এ সংক্রান্ত চিঠি রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা এসেছে।
এদিকে, তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে মেয়র আব্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক শংকর কুমার মেয়র আব্বাসের ৩ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। এসময় মেয়র আব্বাসের পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
আইনজীবী আসলাম সরকার জানিয়েছিলেন, রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ১ ডিসেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার হন মেয়র আব্বাস। গত ২ ডিসেম্বর তাকে রাজশাহীর আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই শাহাবুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সোমবার সেই রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার তার রিমান্ড শেষ হয়।
গত ২২ নভেম্বর রাতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্যের একটি অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরের দিন বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল আইনে মামলা করেন নগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন। এছাড়াও জেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও বহিস্কার হন মেয়র আব্বাস।
আরবিসি/১০ ডিসেম্বর/ রোজি