রাবি প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। আমরা চাই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে। এজন্য পঠনপাঠনে পরিবর্তন করতে হবে।’
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবাস বাংলাদেশ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আর পিছিয়ে থাকা যাবে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। আমি শিক্ষার্থীকে শুধু জ্ঞান দান করলাম, পরীক্ষা শেষে সনদ দিলাম কিন্তু সে কর্মসংস্থান করতে পারল কি-না, উদ্যোক্তা হতে পারল কি-না, চাকরি পেল কি-না সেটির খোঁজ রাখলাম না সেটি যেন না হয়। সনদ সর্বস্ব শিক্ষা না দিয়ে তাদেরকে কর্মমুখী শিক্ষা দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দীন, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রাক্তন উপাচার্য, বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে এই উৎসব উদ্বোধনের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এরপর স্কুলের শিক্ষার্থীরা নৃত্য-গীত পরিবেশন করে। উপাচার্য অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং স্মারক উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে, শহীদ জোহার মাজারে ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক প্রফেসর হাসান আজিজুল হকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন। এরপর তিনি ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
উল্লেখ্য, সাত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আলোচনা করবেন অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। আজ এবং আগামীকাল রোববার বেলা ৩টা থেকে ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে নাট্যোৎসব এবং ১৪ ডিসেম্বর প্রামাণ্যচিত্র ‘বদ্ধভূমিতে একদিন’ প্রদর্শিত হবে।
আরবিসি/০৩ ডিসেম্বর/ রোজি