• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

মেয়র পদও হারাচ্ছেন আব্বাস

Reporter Name / ৮২ Time View
Update : শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে একে একে সব হারিয়েছেন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। বুধবার (১ ডিসেম্বর) র‍্যাবের হাতে আটকও হয়েছেন তিনি। আজ-কালের মধ্যে সর্বশেষ মেয়র পদটিও হারাতে বসেছেন বিতর্কিত এ মেয়র।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল।

তিনি বলেন, ২৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে আমার ডাক বাংলোতে কাটাখালী পৌরসভার ১২ কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র ও পৌরসভার রেজুলেশনের কাগজাদি গ্রহণ করি। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিধিবদ্ধ আইনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই অনাস্থাপত্রের বিপরীতে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত রোববার (২৮ নভেম্বর) পাঠিয়েছি। তার পদ থেকে অব্যাহতি পত্র এখনও হাতে পাইনি। আগামী রোববারের (৫ ডিসেম্বর) মধ্যে হয়ত পেয়ে যাবো।

জেলা প্রশাসক বলেন, যতদূর শুনেছি সেই ফাইল উঠেছে এবং তার সাসপেনশন অর্ডারও হয়েছে। এখন শুধু হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। অর্ডারটি হাতে পেলেই পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তিনি (আব্বাস) ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সেহেতু এখন তার পদে থাকার কোনো সুযোগই নেই।

তিনি বলেন, কোনো ফৌজদারি মামলার অপরাধে কেউ যদি গ্রেফতার হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি চার্জশিট হয়। তাহলে তো তার আর এ পদে থাকার যোগ্যতা থাকে না। চার্জশিট গ্রহণ হলেই সে পদ হারাবে। কাজেই সে পদ হারাবে, এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

দুদিনও লাগতে পারে অথবা আজকেও হয়ে যেতে পারে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল।

মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন রাসিক ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন।

পুলিশ সদর দপ্তরকে মামলার বিষয়টি জানানো হয়। সেখান থেকে ২৪ নভেম্বর অনুমোদনের পর মামলাটি গ্রহণ করা হয়। ১ ডিসেম্বর র‍্যাবের হাতে ঢাকার রাজমনি ইশা খাঁ হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই দিন রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার তাকে রাজশাহীতে নিয়ে এসে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল আলম।

আরবিসি/০৩ ডিসেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category