চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক তরুণীর সাথে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদেরের অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজা। এর আগে বুধবার নাচোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম ঝাইটন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের নিজ অফিসে বসে উপজেলার দক্ষিণ সাঁকো পাড়ার এলাকার এক তরুণীর সাথে অশ্লীলতার কর্মকান্ডে জড়ান। এর মধ্যে অশ্লীলতার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তরুণীর পরিবারও রয়েছে ভীত আতঙ্কে। এমনকি ওই পরিবারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে ভূক্তভোগী পরিবারও রয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
আরও উল্লেখ করা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে শিক্ষাবিষয়ক আর্থিক অনুদানের জন্য গেলে চেয়ারম্যান তাকে ফাঁদে ফেলে শ্লীলতাহানী করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন- সাধারণ মানুষ তো বটেই, দলের নেতাকর্মীরাও আবদুল কাদেরের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ। এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওদুদ।
ইতোমধ্যে সরকারি খাদ্য গুদামে গম ও ধান ক্রয়ে দুর্নীতি, উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ লুটপাট, সরকারি পুকুর লিজ প্রদানে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান কাদেরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সংবাদও প্রচার হয়েছে।
এদিকে, অশ্লীলতার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বসে এমন অপকর্মের বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্য ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে এলাকায়। দলের নেতাকর্মীদের দাবি, এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও পার পেয়ে গেছেন কাদের, অন্তত এবার যেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরেই ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান জানান, আব্দুল কাদেরকে বিষয়টি নিয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি এর জবাব দিয়েছেন কিনা সেটা সাধারন সম্পাদক বলতে পারবেন। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে তার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, এ ঘটনায় লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরবিসি/০২ ডিসেম্বর/ রোজি