• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

কেউ অপরাধ করে পার পাবে না : কাদের

Reporter Name / ১০৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি সর্বোচ্চ ছিল। একজন নির্বাচন কমিশনারও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে পার্টিসিপেশন মূল কথা। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড পার্টিসিপেশন হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এদেশে কখনো শান্তিপূর্ণ হয়নি। তবে শেখ হাসিনা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।

মঙ্গলবার (৩০ নবেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ও ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিএনপি ঘোমটা পরে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করছে। তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের উপর ভর করে মারামারি হানাহানি সৃষ্টি করছে।

কাদের বলেন, তৃণমূল থেকে অনেক সময় ভুল নাম আসে, কখনো কখনো বিভিন্ন প্রভাবের কারণে সংস্থার রিপোর্টও প্রভাবিত হয়, ভুল আসে। আমরা ভুলগুলো খুঁজে বের করে সতর্ক হচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকারের পতন হবে জনগণের ইচ্ছায়, বিএনপির ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসেনি। জনগণ চাইলে চতুর্থবারও আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় থাকবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বেপরোয়া গাড়ি যেমন দুর্ঘটনার কারণ, বেপরোয়া পথচারীও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। মোটরসাইকেল চলকরাও বেপরোয়। এরাও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সড়ক পরিবহন আইনে কোনো শিথিলতা আসছে না বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

তিনি বলেন, গণপরিবহনে হাফ ভাড়া আগে থেকেই কার্যকর ছিল। মাঝে শিথিলতা দেখা গেছে। সরকার বিআরটিসি বাসে ছাত্রছাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অনুরোধে বেসরকারী বাস মালিকরা হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা সাত বছর ধরে মামলা পিছিয়েছে, পরে দণ্ডিত হয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। রায় মানতে হবে, আইন মানতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় খালেদা জিয়া দণ্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় থাকতে দিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি বিএনপি কীভাবে আশা করে?

সভায় বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি হবে, ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, আলোকসজ্জাসহ মাসব্যাপী কর্মসূচী রয়েছে। সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর সঙ্গে মিলে নিজস্ব কর্মসূচী নেবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।

আরবিসি/৩০ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category