• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

সুষ্ঠু ইউপি নির্বাচন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

Reporter Name / ১০৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি। বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনকল্যাণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরী করবে। এতে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। রাজশাহীসহ দেশের জনগণ অংশগ্রহণমূলক স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেখতে চায়। তাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

তারা বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে রাজশাহীতে আমরা দু’জন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছি। তারা হলেন, হড়গ্রাম ইউনিয়নে ফজলুর রহমান ফজলু ও দর্শনপাড়া ইউনিয়নে মাইনুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকেই স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের নিরঙ্কুশ জয়ের বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।

হড়গ্রাম ও দর্শনপাড়া ইউপি নির্বাচকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী একজন সাংসদ কখনোই কোন প্রার্থীর জন্য ভোট চাইতে পারেন না। এটি আইন পরিপন্থী। দুঃখজনক হলেও সত্য এমপি আয়েন উদ্দীন সেই আইনকে তোয়াক্কাই করছেন না। তিনি প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের হয়ে ভোট চাইছেন। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, হড়গ্রাম ও দর্শনপাড়া ইউনিয়নের বাস্তবতা হল; ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ছাড়া এখানে কোন প্রার্থীই মাঠে নেই। ‘অদৃশ্য’ কৌশলের অংশ হিসেবে বাড়িতে বসেই তারা নির্বাচনে জিতে যেতে চায়। তাদের এমন মনোভাব নিরপেক্ষ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে অনেকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। গণমাধ্যমে এসব নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসনের নির্লিপ্ততা আমাদের হতাশ করেছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোট গ্রহণের দিনে বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারদের নাম, পরিচয় জানার অধিকার একজন প্রার্থীর আছে। জানি না কোন অদৃশ্য কারণে আমাদের প্রার্থীদের কাছে প্রিজাইডিং অফিসারদের নাম পরিচয় গোপন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে, জনগণের আস্থা ধরে রাখার জন্য সুশৃঙ্খল পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করা।

বিবৃতিতে সাক্ষর করেছেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা।

আরবিসি/২৫ নভেম্বর/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category