স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত অডিও ফাসের পর রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মমিন।
রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাদী একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রচারিত খবরে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে মেয়র আব্বাস আলীর দেওয়া বক্তব্য শুনেছেন বলে দাবি করেছেন। এ জন্য তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যায় কাউন্সিলর আবদুল মমিন ছাড়াও নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার নগরীর রাজপাড়া থানায় এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন চন্দ্রিমা থানায় মামলার জন্য লিখিত এজাহার দাখিল করেন। পুলিশ তাঁদের এজাহার গ্রহণ করলেও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি।
আরএমপির মুখপাত্র বলেন, ‘একই অভিযোগে একই রকম মামলা। তাই আইনগত বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। সে কারণে অন্য দুটি মামলা এখনো রেকর্ড হয়নি। হওয়ার মতো হলে হবে, না হলে না। একই অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় একটা মামলা তো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত থেকে দুটি অডিও ক্লিপ রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, অডিও দুটির কথোপকথন মেয়র আব্বাসের। অডিও দুটির একটিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করলে ‘পাপ হবে’ এমন কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। অন্য আরেকটি অডিওতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সমালোচনা করা হচ্ছে। ঘরোয়া বৈঠকের ওই কথোপকথনে অশ্লীল ভাষায় গালাগালও রয়েছে। এ দুটি অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আব্বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভের ডাক।বুধবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এছাড়া কাটাখালি এলাকায় বিক্ষোভ করেছে পৌর আওয়ামী লীগ। তারা অবিলম্বে মেয়র আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তবে মেয়র আব্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, অডিও দুটি এডিট করা।
আরবিসি/২৪ নভেম্বর/ রোজি