স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় (২৮) বছর বয়সের শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলা হওয়ার পুর্বে আসামী ময়েন উদ্দীনকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হেলালপুর গ্রামে।
এ মামলাটি দায়ের করেছেন, উপজেলার হেলালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবন্ধী নারীর পিতা মুনসুর রহমান। নিয়মিত এ মামলাটি রেকর্ড করার পূর্বে অভিযুক্ত ময়েন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। আসামীর বাড়ীও উপজেলার হেলালপুর গ্রামে। তার পিতার নাম টগ মন্ডল বলে জানা গেছে।
মামলার বাদি মুনসুর রহমান জানান, একই ঘরের পৃথক দু’টি চৌকির একটিতে তিনি ও তার স্ত্রী এবং আরেক চৌকিতে তার প্রতিবন্ধী মেয়ে শুয়ে ছিলেন। ঘটনার দিন ফজর নামাজের সময় তার স্ত্রী দরজায় শিকল দিয়ে হাটতে যায়। তখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের টগ মন্ডলের ছেলে ময়েন উদ্দীন ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন করে। সেই মুহুর্তে তিনি জাগা পেয়ে চিৎকার দেন এবং স্থাণীয় লোকজন সহ তিনি ময়েন উদ্দীনকে আটক করেন।
এদিকে পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানায় ঘটনাটি জানানোর পর পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ময়েন উদ্দীনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর অভিযুক্ত ময়েন উদ্দীন ঘরে প্রবেশের সত্যতা স্বিকার করলে তাৎক্ষনাত তার নামে মামলা নেয়া হয়।
মামলার দদন্তকারি অফিসার বাঘা থানার উপ-রিদর্শক(এস.আই) কেএম স্বপন হুসাইন জানান, মঙ্গলবার মামলা দায়েরের পর ময়েন উদ্দীনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর ভিকটিমকে শারিরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে মামলা নিয়ে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরবিসি/২৩ নভেম্বর/ রোজি