স্টাফ রিপোর্টার : দুইদিনে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ঋণ আদায় মহাক্যাম্প শুরু হয়েছে। সোমবার ব্যাংকের ১৮টি জোনের ৩৮৩ শাখায় একযোগে দুই দিনের এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে। মহাক্যাম্পে ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।
সোমবার রাকাব রাজশাহীর স্থানীয় মূল্য কার্যালয়ে ঋণ আদায় ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাকাব জিএম জয়নাল আবেদীন। শুরুর দিনেই রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন শাখায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রাকাব সূত্র।
রাকাব জনসংযোগ দফতর জানিয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার ঋণ আদায় মহাক্যাম্প চলবে। এই দুইদিনে সবমিলিয়ে এই মহাক্যাম্পে ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সম্ভাব্য শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগামী ডিসেম্বরের পর এই ঋণ শ্রেণিকৃত হবার কথা।
রাকাব সূত্র জানায়, আগামী বছরের জুনে শ্রেণিকৃত হবে এমন সম্ভাব্য ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা শ্রেণিকৃত ঋণ এবং ১১৫ কোটি ১০ লাখ টাকা পুনঃতফসিলকৃত ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
ঋণ আদায় মহাক্যাম্পে রাজশাহী বিভাগের ৯টি জোনে ১৮২ কোটি এবং রংপুর বিভাগের আট জোনে ৩০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়া এলপিও শাখায় ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আরও ৮০০ কোটি টাকা।
রাকাবের মহাব্যবস্থাপক (নিরীক্ষা, হিসাব ও আদায়) মাকসুদা নাসরিন জানিয়েছেন, অগ্রহায়ণ মাসে দেশের অন্যতম শস্যভাণ্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় আমন ধান মাড়াই ও বাজারজাত শুরু হয়। শীতকালীন সবজিও ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় এই সময়। চিনিকলগুলোতেও এই মাসে শুরু হয় আখ মাড়াই। এই মাসে বিভিন্ন অর্থকরী ফসল বিক্রির নগদ অর্থ আসে কৃষকের হাতে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর এমন ঋণ আদায় ক্যাম্প আয়োজন করা যায়নি। তিনি বলেন, তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। কাজেই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলা ৭ ও ৮ অগ্রহায়ণ দুই দিন ঋণ আদায় মহাক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই দুইদিনে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
আরবিসি/২২ নভেম্বর/ রোজি