আরবিসি ডেস্ক : কুমিল্লার পাথরিয়াপাড়ায় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে একদল মুখোশধারী।
সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ ঘটনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল এবং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ বলছে, তারা গুরুতর আহত।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ রাত পৌনে ৮টার দিকে বলেন, “কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ঢুকে দুজনকে গুলি করা হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, এখনও তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”
তবে সোহেলের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, “কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে পালিয়েছে হামলাকারীরা। কাউন্সিলরকে অন্তত ১০টি গুলি করা হয়েছে। তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা কাউন্সিলরের আরও দুই সহযোগীও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।”
৫২ বছর বয়সী সোহেল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর প্যানেল মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়কের দয়িত্বও তিনি পালন করছেন।
কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে সোহেল এর আগেও এক মেয়াদে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। ওই ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহা সাহাপাড়ার রমনী মোহন সাহার ছেলে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলছেন, ‘স্থানীয় আধিপত্যের বিরোধে’ এই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ জানান, হামলাকারীরা সোহেলের অফিসে গিয়েছিল দুটি মোটরসাইকেলে করে।
“ভেতরে তখন সোহেল, হরিপদ ছাড়াও আরও কয়েকজন ছিল। গুলির শব্দে স্থানীয়রা গিয়ে কাউন্সিলারসহ দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
এদিকে কাউন্সিলার সোহেলের ‘নিহত হওয়ার’ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাথুরিয়াপাড়ায় উওেত্তজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয় ওই ওয়ার্ডে। কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
আরবিসি/২২ নভেম্বর/ রোজি