• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

ফিরছেন প্রীতি জিনতা

Reporter Name / ১১২ Time View
Update : রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা, সদ্য যমজ সন্তানের মা হয়েছেন। সরোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবার সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন প্রীতি। দীর্ঘদিন তাকে বড়পর্দায় দেখা যাচ্ছে না। তবে এ বার কামব্যাকেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

দানিশ রেনজুর ছবির মাধ্যমে ফের অভিনয়ে ফিরছেন প্রীতি। সে ছবির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, কাশ্মীরে শুটিং হবে। এক কাশ্মীরি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন প্রীতি। সবে কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২-এর প্রথমার্ধেই শুটিং হবে। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। যদিও ছবির সঙ্গে যুক্ত কোনো ব্যক্তিই এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

প্রীতির দুই সন্তানের নাম জয় জিনতা গুডএনাফ এবং জিয়া জিনতা গুডএনাফ। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জেনের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে এই খুশির খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রীতি। প্রীতি লিখেছেন, ‘আমি সবার সঙ্গে একটা অসাধারণ খবর ভাগ করে নিতে চাই। পরিবারে আমাদের যমজ সন্তান জয় এবং জিয়াকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি ও প্রীতি অত্যন্ত খুশি। আমাদের জীবনের এ নতুন পর্ব নিয়ে আমরা উত্তেজিত। চিকিৎসক, নার্স, আমাদের সরোগেট সবাইকে এ যাত্রায় আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’

বলিউডে ড্রিম গার্ল যদি হন হেমা মালিনী তবে প্রীতি জিনতা হলেন ‘ডিম্পল গার্ল’। তার টোল পড়া গালের হাসিতে বুঁদ গোটা ইন্ডাস্ট্রি। বৈচিত্র্যে ভরা তার জীবন। মৃত্যুকে দু’বার সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। ২০০৪ সাল, কলোম্বোতে শুটিং করছিলেন অভিনেতা। হঠাৎই বিস্ফোরণ। প্রাণ হারান অনেকে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন অভিনেত্রী। এর কিছু বছরই তাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। আচমকাই আছড়ে পড়ে সুনামি। ভাগ্য তার সহায় ছিল। প্রীতি রক্ষা পান এ বারেও।

২০০৯ সালে হৃষীকেশের এক অনাথ আশ্রম থেকে ৩৪ জন কন্যাসন্তান দত্তক নেন প্রীতি। তার ৩৪ বছরের জন্মদিনে এমন কাজ করে ভক্তদের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাদের দেখভাল চালিয়ে যাচ্ছেন প্রীতি। সমস্ত খরচ-খরচা বহন করেন প্রীতি নিজেই। বাবার সঙ্গে প্রীতির ছিল খুব মিষ্টি সম্পর্ক। কিন্তু বাবার আদর খুব বেশিদিন খেতে পারেননি অভিনেতা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুর্গানন্দ জিনতা। তার বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনা অফিসার। বাবার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন প্রীতির মা। প্রাণে বেঁচে গেলেও দুর্ঘটনার দু’বছর পর্যন্ত শয্যাশায়ী ছিলেন নীলপ্রভা জিনতা।

বলিউডে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই রয়েছেন যারা স্কুলের গন্ডি কোনো রকমে পার করলেও কলেজে যাননি কোনোদিন। প্রীতি কিন্তু সেই দলে নন। ছোট থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী। ইংরাজিতে স্নাতক প্রীতি মাস্টার্স শেষ করেন নয়া দিল্লি থেকে। বিষয় ছিল ক্রিমিনাল সাইকোলজি। এখানেই শেষ নয়, বলিউডে তার অবদান এবং নানা মানবদরদী কাজের জন্য লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে ডক্টরেট সম্মানেও ভূষিত করা হয়। তিনি তাই শুধু প্রীতি জিনতা নন। তিনি ড. প্রীতি জিনতা।

আরবিসি/২১ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category