রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে নানা সংকট ও দশ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্রীরা। আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রোকেয়া হলের সামনে এ দাবিগুলো জানিয়ে হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে তারা।
এ সময়, সান্ধ্যা আইন মানিনা মানব না, গেস্ট এলাও করতে হবে, মা বোনদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে দিতে হবে, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বাড়াতে হবে,পেপে আলু আর না আর না, গণরুমের উন্নতি চাই, ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ কর,জাগো ভগিনী,রোকেয়া হলের রোকেয়ারা জেগে উঠো স্লোগান উত্তাল হয়ে হল প্রাঙ্গন।
আন্দোলনরত ছাত্রীরা বলেন, করোনা সংক্রামনের পর আমরা হলে এসে নানা সমস্যা সম্মুখিন হচ্ছি।
আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি কিন্তু এখানে ছেলেদের এক নিয়ম মেয়েদের এক আরেক। আমরা সন্ধ্যার পর বের হতে পারিনা। এক হলের মেয়েরা আরেক হলে ঢুকতে পারেনা। ছেলেদের হল গুলোতে এরকম যদি এতো স্বাধীনতা থাকে আমরা কেন পাবো না। এতো বৈষম্য থাকবে কেনও?’
তারা বলেন, হলের ভেতরে রিডিং রুমে চেয়ার সংকট রয়েছে তা সমাধান করেনি, হলে মশার উপদ্রপ বাড়লেও প্রভোস্ট কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সেইসাথে ডাইনিংয়ে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়, খাবারের মান পরিবর্তন করে না।’
তারা আরো বলেন, আমাদের গণরুমে মেয়েদের রান্নার সুব্যবস্থা নাই। হলের খালারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এসকল সমস্যা সমাধান যতক্ষণ পর্যন্ত না হয় আমাদের আন্দোলন চলবে। যতক্ষণ না লিখিত সমাধান দিবে ততক্ষণ আমরা এখানেই অবস্থান করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর তারেক নূর বলেন, ‘এ বিষয়টা বিয়ে ছাত্রীদের সাথে হল প্রাধ্যক্ষ আলোচনায় বসেছে। দ্রুতই সমাধান আসবে।’
সহকারী প্রক্টর প্রফেসর মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রীরা যেগুলো দাবি তুলে ধরেছে সেগুলো আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে যতদ্রুত দ্রুত সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা থাকবে। সান্ধ্যাকালীন আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী করা হয়েছে। সে আইন এতদ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবেনা।’
আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা হল প্রাধ্যক্ষ ও কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে হলের ভেতরে আলোচনায় বসেছে।
আরবিসি/২০ নভেম্বর/ রোজি